ভানুময় চন্দ ( ত্রিপুরা ) : করোনার প্রভাব রুখতে অসম ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্ত সিল করলেন করিমগঞ্জের ডিসি।তৃতীয় পর্যায়ে শুরু হওয়া লকডাউনে কিছুটা ছাড় দিতেই হু হু করে বেড়ে চলেছে মহামারি করোনার প্রকোপ।এতে গত তিন দিনে অসম ও ত্রিপুরা রাজ্যে ব্যাপক পরিমান করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।এমন খবরে স্বাভাবিক ভাবে বিব্রত হয়ে উঠেছে জেলা প্রশাসন।বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি সমষ্টির চোরাইবাড়ি সংলগ্ন অসম ত্রিপুরা আন্ত:রাজ্য সীমান্ত গেইট দিয়ে উভয় রাজ্যের আটকা পড়া কিছু জনগনকে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করার পর থেকে করোনা সংক্রামণ বেড়েই চলছে।এমনকি ত্রিপুরা রাজ্য থেকে ঘুরে আসা করিমগঞ্জ জেলার কায়স্থগ্রামের লরি চালক জফরুল ইসলাম শেষ পর্য্যন্ত করোনা পজেটিভ ধরা পড়ায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল জেলা প্রশাসন।এ মর্মে আজ ডিসি এসপি ডিআইজি ডিএসপি সহ স্থানীয় বিধায়ক যথাক্রমে আনবামুথান এমপি কুমার এসকৃষ্ণা দিলীপ দে শুধন্য শুক্লবৈদ্য ও কুষ্ণেন্দু পাল চোরাইবাড়ি সীমান্ত গেইটে উপস্থিত হয়ে প্রথমে অসম পুলিশের সাথে জরুরি আলোচনা করে পরে তারা ত্রিপুরা থানায় উপস্থিত হয়ে ত্রিপুরা প্রশাসনের সাথে কথা বলেন।উক্ত আলোচনায় ডিসি আনবামুথান এমপি ত্রিপুরা প্রশাসনকে জানান যে করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে সরকারি নির্দেশ মুতাবেক আজ রাত বারোটা থেকে ত্রিপুরার কোন লোক অসমে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।পরবর্তি আদেশ না আসা পর্য্যন্ত এ নির্দেশ জারি থাকবে।তবে দুটি রাজ্যে পূর্বের ন্যায় পণ্যবাহি লরি সহ জরুরি সেবার সাথে যুক্ত যান বাহন সহ অনুমোদিত ব্যক্তি বা কর্মিরা চলাচল করতে পারবেন।